আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করতে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
থার্টি ফার্স্ট নাইট
থার্টি ফার্স্ট নাইটে কমবেশি সবার ঘরেই বার-বি-কিউয়ের আয়োজন থাকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে গানবাজনা ও আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের ডিজে পার্টিও নিষিদ্ধ থাকবে।
মাদকের অপব্যবহার রোধে আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দেশের সকল প্রকার বার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই রাজধানী ঢাকার প্রতিটি এলাকায় ফানুস ওড়ানো শুরু হয়। একযোগে ফোটানো হয় পটকা বা আতশবাজি। আর তাতে বিকট শব্দে কেঁপে কেঁপে ওঠে গোটা মহানগরী। ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও করোনা মহামারীর কারণে এবার উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী দ্রুত বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের উৎসব সীমিত পরিসরে আয়োজনের সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। তবু যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
থার্টি ফার্স্ট বা খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে ১৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোসহ যেকোনো ধরনের অশোভন আচরণ ও বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছে পুলিশ।
ইংরেজি বছরের শেষ দিন রাতে কোনো ডিজে পার্টি করা যাবে না। এছাড়া সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ থাকবে সব বার।